top of page

সাওম কেনো পালন করবেন? (প্রথম নিবন্ধ)

Read-Learn-Share

Updated: Apr 30, 2021

রোযা রাখা আমাদের জীবনের উত্তম সব অনুশিলনের মধ্যে একটি। যেকোনো ধরনের খাবার খাওয়া বা পানীয় পান করা থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা বিরত থাকাকেই রোযা বলে। বৈজ্ঞানিকভাবে দেখলে বোঝা যায় যে, রোযা রাখা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক উপকারি। আবার এই পৃথিবীর অনেক ধর্মেই একটি বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশের কথা বললে, আমরা দেখতে পারব যে এই দেশের বেশিরভাগ মানুষই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইসলামের মতে, পুরো আরবিমাস রমজানে রোযা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইসলামের মূল ৫টি স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো সাওম পালন করা বা রোজা রাখা।

রোজা রাখলে আমাদের অনেক উপকার হয় এবং আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। এই গুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো এটি আমাদের জ্ঞানিয় কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করে। এটি আমাদের স্থুলতা ও সংশ্লিষ্ট ক্রনিক রোগ থেকে বাঁচার জন্যে আমাদের শরীরকে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের কারনে হওয়া প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই অভ্যাস আমাদের সম্পূর্ণ ফিটনেসের উন্নতি করতে সাহায্য করে এবং মতা মানুষদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। রোজা রাখার কারনে বিপাকীয় অসুস্থতার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। তাছারা একটি সাম্প্রিতিক গবেষণার দ্বারা জানা গেছে যে, রোজা রাখার কারনে পুরোনো ও বিষাক্ত কোষকে ধ্বংস করে নতুন ও সজীব কোষের জন্ম দেয়। এই প্রক্রিয়াটি ক্যান্সারের রুগীদের জন্যে একটি আশার আলো হতে পারে এবং হাল্কা অথবা প্রাকজাতীয় ক্যান্সারের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর প্রতিরোধক বা প্রতিচার হতে পারে।

মুসলমানেরা যে ধরণের রোজা পালন করে (সাওম) সেই ক্ষেত্রে মুসলমানেরা শুধু খাবার খাওয়া ও পানীয় পান করা থেকেই বিরত থাকে না, তারা নানা ধরণের পাপ কাজ ও অন্যায়-অবিচার থেকে বিরত থাকে। উদাহরণ স্বরূপ; মুসলমানেরা সাওম পালন করার সময় কোন মিথ্যা কথা বলে না, রাগ অথবা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে, অন্যদের সঙ্গে মারামারি করা থেকেও বিরত থাকে। তাই এক মাসের এই অনুশিলনের দ্বারা মুসলমানেরা ভালো ব্যাবহার অর্জন করতে পারে।

রোজা রাখার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপকার হলো যে আমারা এর মাধ্যমে গরীব-দুস্থ ও অসহায় লোকদের করুণ অবস্থা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের দেশের কথা বললে দেখা যায় যে, অগণিত অসহায় লোক এই দেশের রাস্তা ও বস্তিতে শুয়ে আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই দিন আনে দিন খায়, এদের মধ্যে আবার অনেকেই হয়তো ঠিকমত এক বেলা খেতে পায় না। তারা বাকি দিনটুকু ঘণ্টার পর ঘণ্টা না খেয়ে কাটায়। সাওম পালন করার মাধ্যমে আমরা এই অসহায় লোকগুলোর অসহনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা অনুভব করতে পারি। ফল স্বরূপ এটি আমাদের আরও সহানুভূতিশীল ও উৎসাহিত করে তলে যাতে আমরা এই সব দুস্থ-অসহায় লোক ও পথ-শিশুদের পাশে দাড়াতে পারি ও তাদের সাহায্য করতে পারি। তাই রোযা রাখা কিংবা সাওম পালন করা আমাদের ও আমাদের সমাজের অন্যান্য লোকদের জন্যে খুবই উপকারি। তাই মুসলমানদের উচিত এই মাসটিতে সাওম পালন করা ও যত বেশি শম্ভব তত বেশি প্রার্থনা করা। এবং যদি আপনি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে এই নিবন্ধটি যত বেশি মুসলমানকে সম্ভব তত জনের কাছে শেয়ার করার মাধ্যমে পৌঁছে দিন। বি.দ্রঃ এই নিবন্ধটি বিশেষ করে মুসলমান জনগোষ্ঠীর জন্যে। আমরা অন্য কোন ধর্ম কিংবা কোন ধর্মের অনুসারীদের অপমান করতে চাই না এবং কাউকে রোজা রাখতে বাধ্যও করছি না।



এই নিবন্ধটি পরার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আরএলএসের প্রধান নিবন্ধ লেখক ও দল।




13 views0 comments

Recent Posts

See All

Comments


Post: Blog2_Post

©2021 by WELS, Dhaka, Bangladesh.

bottom of page